Friday, July 3, 2015

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়, BD MOITTRY VOIP


১৯৯৯ বিশ্বকাপে নর্দাম্পটনের সেই ম্যাচটি ছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে আরও কোনো ধরনের ম্যাচেই জয় ছিল না বাংলাদেশের। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে রেকর্ডটিও ছিল ২৯-৩। যদি অতীত রেকর্ডই ম্যাচের ফল ঠিক করে দেয়, তাহলে আর মাঠে নেমে খেলার ​কী দরকার। চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে তাই অতীত পরিসংখ্যান ঘাঁটাঘাঁটিতে উৎ​সাহী নন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও বাংলাদেশের রেকর্ড ভালো নয়। আরও স্পষ্ট করে বললে—যাচ্ছেতাই। তিন ধরনের ক্রিকেটে ২৪টি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি জয়, ২০০৭ বিশ্বকাপে গায়ানায়। বাকি ১৩ ওয়ানডেতেই হার। হেরেছে ৮ টেস্টের প্রত্যেকটিতে। দুটো টি-টোয়েন্টিতেও।
বাংলাদেশ কোচ যে এই রেকর্ডের তথ্য জানেন না, এমন নয়। তবুও যখন মনে করিয়ে দেওয়া হলো, হাথুরুর উত্তর, ‘অতীত বিশ্বাস করলে আজ আমি এখানে থাকতাম না। অতীত রেকর্ডে আমার বিশ্বাস নেই। এটা বদলাবেই। অতীত রেকর্ডে কিছু যায় আসে না। আপনি এখন কী করছেন, তার ওপরই নির্ভর করছে সব। আমরা অতীতে বাস করি না, বাস করি বর্তমানে। খেলোয়াড়েরা অতীত রেকর্ড নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করে কি না, সেটা আমার হাতে নেই। আমি শুধু আমার খেলোয়াড়দের দিক নির্দেশনা দিতে পারি—এই হলো আমাদের শক্তি, আর এই এই কাজগুলো আমাদের করা উচিত। আমি সব সময়ই তাদের মনে করিয়ে দিই, খেলোয়াড় হিসেবে তারা কতটা অসাধারণ, আর তাদের পক্ষে কী করা সম্ভব।’
দলকে যে তিনি দারুণ উজ্জীবিত করতে জানেন, সেটা খেলোয়াড়দের দেহভাষাতেই এখন পরিষ্কার। অন্তত ছোট সংস্করণে বাংলাদেশ এখন কাউকেই ভয় পায় না। তবে উচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া বা বাড়তি আত্মবিশ্বাস অনেক সময় আত্মঘাতী হয়ে যায়। হাথুরু অবশ্য আশ্বস্ত করছেন, ‘এমন কিছু দেখিনি যেটায় মনে হয়েছে দলের মনোযোগ সরে যাচ্ছে। তারা মাটিতেই পা রাখছে। তবে সাফল্য জিনিসটা উপভোগও করতে হবে। এই খেলোয়াড়েরা এমন কিছু করে দেখিয়েছি, যা আগে কেউ কখনো করেনি। তাদের সেই অধিকার আছে এই সাফল্য উপভোগ করার, নিজেদের আত্মবিশ্বাসী ভাবার।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে দুটো প্রধান কৌশলগত প্রশ্নের সামনে। পেস নাকি স্পিন; এবং মুশফিক নাকি লিটন দাস? দুটোরই উত্তর দিলেন হাথুরু। মুশফিকের ফিটনেসের ওপর নির্ভর করছে কে করবে কিপিং। আর বোলিং আক্রমণ নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা, ‘এখন আমাদের স্পিন আর পেস আক্রমণে একটা ভারসাম্য এসেছে। ঐতিহ্যগতভাবে বাংলাদে​শে অনেক ভালো স্পিনার উঠে এসেছে। এখনো আছে। হয়তো আমাদের পর্যাপ্ত ভালো ফাস্ট বোলার নেই, কিন্তু তারাও দলের মধ্যে বাড়তি শক্তি যোগ করেছে। কেউ হয়তো লম্বা, কারও বোলিংয়ে দারুণ বৈচিত্র্য, কেউ সুইং করাতে পারে। আমাদের হাতে তাই এখন অনেক বিকল্প। দক্ষিণ আফ্রিকা দলে অনেক ভালো ফাস্ট বোলার আছে, আর ওদের ব্যাটিংটাও দুর্দান্ত। এখন তো ওরা স্পিনেও দারুণ খেলে। আমাদের তাই ধারাবাহিক ক্রিকেটটা খেলতে হবে। মাঠে ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে হবে।’
Newer Post Older Post Home